শরীফ আহমদ, দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি:: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরী কার্যক্রম প্রথম পর্যায়ে শুরু হলে পরবর্তীতে স্থগিত হয়েছে। বাংলাদেশে ডিজিটাল কার্যক্রম সব কিছু গতিতে চললেও গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনায় ডিজিটাল ভোগান্তির শেষ নেই। এই ডিজিটাল কার্যক্রমে ধীর গতিতে চলছে দীর্ঘদিন যাবত। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের এই কার্যক্রমটি চালাচ্ছে বলে উদ্যোক্তারা জানান। প্রতিবেদক ঢাকা স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন নাম্বার ফোন দিলে তারা রিসিভ করেননি। অথচ এই ভোগান্তি শুধু সিলেটে নয়, সমগ্র বাংলাদেশে হচেছ বলে জানাগেছে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ১০টি ইউনিয়নের অনলাইনে পিতা মাতার জন্মনিবন্ধন করার পর শিক্ষার্থীদেরও জন্মনিবন্ধন করতে ভীড় করছেন। এই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের। এতে করে প্রতিদিন গড়ে ২ শতাদিক জন্মনিবন্ধন সংশোধন ফরম জমা হচ্ছে। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদোক্তাদের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত জন্মনিবন্ধন সংশোধন করতে ইউনিয়ন পরিষদের ভীড় করছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। এর ফলে ইউনিয়নের উদ্যোক্তা অন্যান্য কাজে ও নিবন্ধন কার্যক্রম করতে বিলম্বনায় পড়ছেন। তাই এই নিয়ে প্রতিনিয়ত ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি হচ্ছে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জন্মনিবন্ধন কার্যক্রমের কাজ করছেন ইউনিয়নের উদ্যোক্তারা। সার্ভারের ধীর গতি থাকায় তারা সঠিক ভাবে জনসাধারনের সেবা প্রদানে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। শুধু এই শেষ নয়, ফরম নিয়ে সেবাগ্রহিতারা উপজেলা পরিষদে যেতে হয়। নির্বাহীর অফিসারের মাধ্যমে সংশোধন হওয়ার পর ইউনিয়ন থেকে জন্মনিবন্ধন নেয়া যায়। তাই এই বিড়ম্বনা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষোভ প্রকাশকারী এক অভিভাবক জানান, বর্তমান সরকার ডিজিটাল কার্যক্রমে কাজ করছে। কিন্তু সার্ভারের জঠিলতায় প্রতিনিয়ত মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
তেতলী ইউনিয়ন পরিষদের অফিস সহকারী রাজীব দাস ও লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা শাহিদা বেগম জানান, প্রতিদিন ২শতাদিক জন্মনিবন্ধনের কাজ জমা হচ্ছে। সার্ভার জটিলতায় আমরা সঠিক ভাবে কাজ করতে পারছিনা। এ নিয়ে আমাদের প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
দক্ষিণ সুরমা শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি কেন্দ্রীয় শিক্ষক নেতা গোলাম মোস্তফা কামাল জানান, সার্ভারের জটিলতায় ইউনিক আইডির কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা সার্ভার কার্যক্রম সচল হলে জন্মনিবন্ধন কাজ করতে পারবে। তাই এখন ইউনিয়ন পরিষদের গিয়ে ভীড় না করতে সবার প্রতি আহবান জানান।
লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল জানান, আমাদের ইউনিয়নের উদ্যোক্তারা দিন রাত কাজ করে জনগনের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সার্ভার জঠিলতায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হক বলেন, আমরা সব সময় চেষ্টা করছি জনগণ যেন সঠিক সেবা পায়। তাই কোন সেবা গ্রহিতাকে সেবা না দিয়ে ফেরত দেই না। গত কয়েকমাস ধরে এই সেবা গ্রহিতারা বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা সময় ব্যয় হচ্ছে। তবুও আমরা চেষ্টা করছি জনগণ যেন দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে পারেন।